শর্ত সমূহ
(ক) নতুন সংযোগ সম্পর্কে:
১। নতুন সংযোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে সংযোগ ফি গ্রীন বাইটস্ কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে এবং সংযোগ ফি অফেরতযোগ্য৷
২। নতুন সংযোগ নেওয়ার পূর্বে সংযোগ ফি এবং চলমান একমাসের ইন্টারনেট প্যাকেজ বিল একসাথে প্রদান করতে হবে।
৩। নতুন সংযোগ চালু হওয়ার সর্বোচ্চ সময় ১ থেকে ২ কর্মদিবস।
(খ) প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
১। নতুন সংযোগ নেওয়ার সময় গ্রাহক তার জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্টের ফটোকপি প্রদান করবেন।
২। প্রত্যেক স্বতন্ত্র ব্যবহারকারী দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ফটো, প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেঙ্গের ফটোকপিতে কোম্পানির সিলমোহর সহ প্রদান করবেন।
৩। ১৮ বছরের নিচের গ্রাহকের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ফর্মে অবশ্যই বৈধ অভিভাবকের স্বাক্ষর থাকতে হবে।
৪। অসম্পূর্ণ কিংবা মিথ্যা ডকুমেন্টের কারণে বিনা নোটিশে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
(গ) বিল পরিশোধ সংক্রান্তঃ
১। প্রতি মাসের ইন্টারনেট বিল উক্ত মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে, অন্যথায় উক্ত সংযোগটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। গ্রাহক উক্ত মাসের সম্পূর্ণ বিল প্রদান করে বন্ধ সংযোগ পুনরায় চালু করতে পারবেন।
২। বিল অপরিশোধিত থাকার কারণে যদি সংযোগ বন্ধ থাকে, সেক্ষেত্রে গ্রাহককে কোন প্রকার মূল্য ছাড় কিংবা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে না।
৩। সরকারী নিয়মানুযায়ী, গ্রাহক অবশ্যই সরকার নির্ধারিত ভ্যাট, ট্যাক্স ও অন্যান্য ফি পরিশোধ করবেন।
৪। রশিদ/ ট্রানসাকশান নম্বর ছাড়া কোনো ধরনের লেনদেন গ্রহণযোগ্য নয়। নিয়ন্ত্রণ সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী গ্রীন বাইটস্ কর্তৃপক্ষ যেকোন সময়, যেকোন ধরণের ফি পরিবর্তন করার (কমানো কিংবা বাড়ানো) অধিকার সংরক্ষণ করে।
(ঘ) গ্রাহকের দায় দায়িত্বঃ
১। গ্রাহক তার কম্পিউটার/ডিভাইসের রক্ষনাবেক্ষণ ও তথ্যের নিরাপত্তা নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করবেন । গ্রাহকের অবহেলার কারণে গ্রাহকের কম্পিউটার/ডিভাইসের কোন প্রকার ক্ষতি হলে কিংবা তথ্য হারানো গেলে গ্রীন বাইটস্ কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
২। গ্রাহক তার সংযোগ অন্য কোন ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানকে প্রদান কিংবা ভাড়া দিতে পারবেন না। এবং একজন গ্রাহক অন্য কোন গ্রাহকের সংযোগ ব্যবহার করতে পারবেন না। এই নিয়মের ব্যতিক্রম হলে গ্রাহকের উপর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জরিমানা আরোপিত হবে। এবং ক্ষতির পরিমাণ অনুযায়ী জরিমানার পরিমাণ গ্রীন বাইটস্ কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে ।
৩। গ্রাহকের সীমানায় যদি গ্রীন বাইটস্ কর্তৃপক্ষের কোন যন্ত্রাংশ/ডিভাইস থাকে সেক্ষেত্রে গ্রাহক উক্ত যন্ত্রাংশ/ডিভাইসের রক্ষণাবেক্ষণ করবেন এবং গ্রাহকের সীমানার মধ্যে গ্রীন বাইটস্ এর প্রতিনিধি/টেকনিশিয়ানদের পরিচয়পত্র যাচাইপূর্বক প্রবেশধিকার দিবেন । অবশ্যই কাজ করার সময় প্রতিনিধির সাথে গ্রাহক নিজেই বা গ্রাহকের নিজ প্রতিনিধি একজন উপস্থিত থাকবেন। অন্যথায় কোনো কিছু হারানো বা ক্ষতির দায়বার গ্রীন বাইটস্ বহন করিবে না এবং তা আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।
৪ । যদি গ্রাহকের দ্বারা কিংবা গ্রাহকের কারণে ইন্টারনেট সংযোগের ক্যাবল কিংবা ডিভাইস ক্ষতিগ্রস্থ হয়, সেক্ষেত্রে গ্রাহক তার মূল্য পরিশোধ করবেন।
(ঙ) ইন্টারনেট প্যাকেজ পরিবর্তন ও সংযোগ বন্ধ করাঃ
১। একজন গ্রাহক প্রতিমাসে সর্বোচ্চ একবার ইন্টারনেট প্যাকেজ পরিবর্তন (কমানো/বাড়ানো) করতে পারবেন । ডাউনগ্রেডের ক্ষেত্রে চার্জ প্রযোজ্য।
২। ইন্টারনেট সংযোগ কোন মাসে সাময়িক ভাবে কিংবা সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছিন্ন করতে চাইলে পূর্বের মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে গ্রীন বাইটস্ কর্তৃপক্ষকে জানানো কিংবা ওয়েব সাপোর্টে অবশ্যই জানাতে হবে। অন্যথায় গ্রাহক সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবেন।
৩। কোনো সংযোগ দুই মাসের বেশি বন্ধ থাকলে উক্ত সংযোগ সম্পূর্ণ রূপে বিচ্ছিন্ন করা হবে। দুই মাসের বেশি সময় ধরে বিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পুনরায় চালু করতে চাইলে পুনঃসংযোগ ফি প্রদান করতে হবে ।
৪ । চলতি মাসে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হলে সম্পূর্ণ মাসের বিল প্রদান করতে হবে।
(চ) অভিযোগ সংক্রান্তঃ
১। ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারে সমস্যা হলে কিংবা সংযোগ না পেলে, গ্রাহক তাৎক্ষণিকভাবে গ্রীন বাইটস্ কর্তৃপক্ষকে ফোনকল/ওয়েব সাপোর্ট/ফেসবুক পেজের ইনবক্সের মাধ্যমে অবহিত করবেন।
২। বিলম্বিত অভিযোগের কারণে সমস্যা সমাধানে সময়ক্ষেপন হলে গ্রীন বাইটস্ কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেনা।
৩। ইন্টারনেট সংযোগ সংক্রান্ত কোন সমস্যা থাকলে উক্ত সমস্যা (সকাল ১০টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) অভিযোগের ভিত্তিতে টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
৪। ফোন সাপোর্ট সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দেওয়া হবে। এছাড়াও গ্রাহক যে কোন সময় ইন্টারনেট সংযোগ সংক্রান্ত যে কোন সমস্যা জানাতে গ্রীন বাইটস্ কর্তৃপক্ষে'র ওয়েব সাপোর্টে অথবা ফেসবুক পেজের ইনবক্সের মাধ্যমে জানাতে পারবেন।
৫ ৷ অনাকাঙ্খিত কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ইন্টারনেট সার্ভিস অচল, বিঘ্নিত কিংবা বন্ধ হয়ে গ্রাহকের যদি কোন প্রকার ক্ষতি হয়, সেক্ষেত্রে গ্রীন বাইটস্ কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। উক্ত সার্ভিস পুনরায় চালু করতে বিলম্বের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি ও অসুবিধার জন্য কোন প্রকার মূল্যছাড় কিংবা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে না।
(ছ) সংযোগ স্থানান্তর সংক্রান্তঃ
১। ইন্টারনেট সংযোগের স্থান পরিবর্তন করতে হলে তা গ্রীন বাইটস্ কর্তৃপক্ষকে ফোনে কিংবা ওয়েব সাপোর্টে অবশ্যই অবগত করতে হবে।
২। কাভারেজ এলাকা ভেদে গ্রাহক সংযোগ স্থানান্তর ফি প্রদান করবেন।
(জ) অন্যন্যঃ
১। গ্রাহক তার ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে কোন প্রকার অন্যায় / বেআইনী কাজ করতে পারবেন না, যা কিনা বাংলাদেশ সরকারের আইনকানুন ও নিয়মের পরিপন্থি বলে গণ্য হয়। এরূপ কাজের জন্য গ্রাহক নিজে সমুদয় দায় দায়িত্ব বহন করবেন।
২। ইন্টারনেট সংযোগে ব্যবহৃত সকল প্রকার মালামালের একমাত্র বৈধ মালিক গ্রীন বাইটস্ কর্তৃপক্ষ। কোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর সংযোগ প্রদানে ব্যবর্হত যাবতীয় মালামাল খুলে আনার অধিকার গ্রীন বাইটস্ কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।
উপরোক্ত সকল শর্তাবলী যে কোন সময় গ্রীন বাইটস্ কর্তৃপক্ষ পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা বিয়োজন করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
সর্বশেষ হালনাগাদ: ১৯ জানুয়ারী ২০২৪